
অবারিত মাঠ গগন ললাট
চুমে তব পদ ধূলি,
ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়
ছোট ছোট গ্রাম গুলি।
সেই ছায়া সুনিবিড়, সুজলা, সুফলা, শস্য,শ্যামলে ভরা শান্তির একটি গ্রাম মাগুরা জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার ৫নং দারিয়াপুর ইউনিয়নের চৌগাছী গ্রাম। এত শান্তির মধ্যেও কোথায় যেন একটু অতৃপ্তি রয়ে যাচ্ছিল। তাইতো আজ থেকে ৮১ বছর আগে তৎকালীন বৃটিশ সরকারের অনুগত জমিদার বাবু অমূল্যচরন মুন্সী ১৯৩৬ সালে এখানে চৌগাছী বি, এম, পিপলস একাডেমি নামে সর্বপ্রথম একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলেন যার প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু পৃথ্বীশ চন্দ্র মুন্সী। অত্র এলাকার মধ্যে এটিই ছিল তখন একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টি যথেষ্ট সুনামের সাথে চললেও,দেশ বিভক্তির কারনে জমিদার পরিবারটি দেশত্যাগ করায়, উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ১৯৫৪ সালে বিদ্যালয়টি সম্পুর্নরুপে বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয় বন্ধ হলেও গ্রামের শিক্ষানুরাগি মানুষের হৃদয়ের রক্ত ক্ষরন কিন্তু বন্ধ হয়নি। তাইতো ১৯৬৬ সালে এই গ্রামবাসির উদ্যোগে আবারও গড়ে ওঠে নুতন করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,যা প্রথম থেকেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বিকৃতি লাভ করেছিল, শুরু হলো চৌগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে নবযাত্রা। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বিদ্যালয়টি পৌঁছাতে পেরেছে আজকের এই অবস্থানে ।আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করছি অতীতের সকল শিক্ষক-কর্মচারী,ব্যবস্থাপনা কমিটি সহ এলাকার সকল সহযোগী মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের অবদানকে।তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নানাবিধ কারনে মাঝে বিদ্যালয়ের একাডেমিক রেজাল্ট একটু ঝিমিয়ে পড়লেও ২০০৯ সালের পর একঝাঁক নবীন,মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দান,নির্মোহ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং এলাকাবাসির সর্বাত্মক সহযোগীতার ফলে ২০১০ সাল থেকেই আমাদের বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে একটি অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বলতে গেলে একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভর করে টিকে আছে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। তারপরও শিক্ষক মন্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে পাবলিক পরীক্ষায় আমাদের অবস্থান উপজেলার মধ্যে অন্যতম। বিদ্যালয়ের লেখা-পড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য প্রতিভার স্বাক্ষর হিসাবে ২০১৪ সালে আন্ত:স্বুল ফুটবল প্রতিযোগিতা ও ২০১৫ ও ২০১৮ সালে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জেলা চ্যাম্পিয়ানসহ বিভাগীয় রানার আপ হয়। এছাড়াও ২০১৭ সালেও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
ইতোমধ্যে ২০১৪ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সেকায়েপ প্রকল্প কত্তৃক এবং ২০১৬ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে আমাদের বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে পুরষ্কার প্রাপ্ত হয়।
স্মর্তব্য যে,আমরা গর্বের সাথেই বলতে চাই, আমাদের বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কখনো পরীক্ষার হলে অসুদোপায় অবলম্বনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ